টিএসসি–পল্লবিতে ককটেল বিস্ফোরণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও মিরপুরের পল্লবিতে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তাৎক্ষণিকভাবে এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

বুধবার রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে টিএসসি এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ওই সময় ঘটনাস্থলের পাশেই জুলাই ঐক্যের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল।

অন্যদিকে, রাতেই মিরপুরের হারুন মোল্লা কলেজ মাঠে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের ১৭ বছরের গুম–খুন ও ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র (ডকুমেন্টারি) প্রদর্শন চলছিল।

এর আগে সন্ধ্যায় রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় দুর্বৃত্তরা একটি বাসে আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে, রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬টি পেট্রোল বোমা ও ৪টি ককটেল উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাবের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তরা তিনরাস্তা, রায়েরবাজার ও মোহাম্মদপুর এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। সে উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকগুলো মজুদ করা হয়।

উদ্ধার করা পেট্রোল বোমা ও ককটেল র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিস্ক্রিয় করেছে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

বৃহস্পতিবার ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগ। দিনটিকে ঘিরে রাজধানীতে ইতোমধ্যে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি, বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। নাশকতাকারীদের বিষয়ে নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশ।

নাশকতা প্রতিরোধে বুধবার দিনভর রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও বিজিবির চেকপোস্টে তল্লাশি জোরদার দেখা গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রাতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করা হবে। মোটরসাইকেল চলাচলেও থাকবে বাড়তি নজরদারি।

Comments (0)
Add Comment