বাংলা চলচ্চিত্রের বরপুত্র সালমান শাহর মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয়, হত্যা হিসেবে বিবেচনা করার আদালতের নির্দেশের পর এবার মুখ খুললেন সহশিল্পী চিত্রনায়িকা শাবনূর। তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন। রায় ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
জানান, এই মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।
শাবনূর লিখেছেন, ‘অনেকেই এ বিষয়ে আমার মন্তব্য জানতে চাইছেন। তবে যেহেতু বিষয়টি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন, তাই শুরুতে এ নিয়ে কিছু বলতে চাইনি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে লক্ষ্য করছি, কিছু ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে সালমান শাহ সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। আমার সম্পর্কে ভিত্তিহীন এসব গুজব ও অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সালমান শাহ ছিল আমার অত্যন্ত প্রিয় সহ-অভিনেতা। আমরা একসঙ্গে প্রায় ১৪টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সালমান ছিল অসাধারণ প্রতিভাবান ও জনপ্রিয় এক অভিনেতা। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, তাঁর সঙ্গে কাজ করে আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার আরও উজ্জ্বল হয়েছে।’
শাবনূর বলেন, ‘সালমানের অকাল মৃত্যুতে আমি ব্যক্তিগতভাবে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কেউ কেউ হয়তো নিজেদের বাঁচাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল। যা আমাকে ভীষণভাবে আঘাত করেছে। তবে আজও আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, সালমান শাহ কীভাবে মারা গেছেন, তা আমি সত্যিই জানি না। আমি শুধু তাঁর মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি।’
অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘সন্তান হারানোর বেদনা যে কত কষ্টের তা সালমানের মা নীলা আন্টির আহাজারি দেখলেই অনুভব করা যায়। আমি তাঁর প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং সালমান শাহর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৯ বছর পর সালমান শাহের আত্মহত্যা মামলার এখন হত্যামামলা হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ২১ অক্টোবর রমনা থানায় সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে সালমানের প্রাক্তন স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনের নাম রয়েছে।