২৯ বছর আগে চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে গত ২১ অক্টোবর রমনা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে যাঁরা দেশে আছেন, তাঁরা যেন দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুদিন আগে আসামিদের তথ্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সালমান শাহর বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়।
এরপর দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম ঢাকার সিএমএম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেন। এ আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণও উল্লেখ করা হয়। তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
২০ অক্টোবর আদালত সালমান শাহর মায়ের রিভিশন আবেদনটি মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করার নির্দেশ দেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সালমান শাহর মামা রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।