ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০৮ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

কালো মাটির মন্থর উইকেটে শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা পেলেন টার্ন। তাদের পাশাপাশি পেসারদের বলও আচমকা নিচু হয়ে যাওয়ায় ভুগতে হলো বাংলাদেশের ব্যাটারদের। এমন পিচে পুরো ওভার কাটানোই ভীষণ মুশকিল! সাবধানতায় খেললেও সেটা করতে না পেরে ২ বল বাকি থাকতে অলআউট হলো টাইগাররা

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাট করেছে বাংলাদেশ। ৪৯.৪ ওভারে তারা গুটিয়ে গেছে ২০৭ রানে।

স্বাগতিকদের পক্ষে ফিফটি ছুঁয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। তার ৯০ বলের ইনিংসে চার তিনটি। অভিষেক ওয়ানডে খেলতে নামা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেন ৭৬ বলে ৪৬ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৬৩ বলে ৩২ রান। শেষদিকে রিশাদ হোসেন ২৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেললে দুইশ পেরোতে পারে বাংলাদেশ। তিনি ১৩ বল মোকাবিলায় মারেন দুটি চার ও একটি ছক্কা।

দেখেশুনে খেলে ২৯.৫ ওভারে দলীয় শতরান পূর্ণ করার পর একদম শেষবেলায় বাংলাদেশের রানের গতি বাড়ে। শেষ ৫ ওভারে তারা ৫ উইকেট হারালেও তারা যোগ করে ৪৩ রান।

ওয়ানডেতে সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকারের নতুন উদ্বোধনী জুটি সুবিধা করতে পারেনি। স্কোরবোর্ডে ৮ রান যোগ হতে সাজঘরে ফেরেন তারা। রোমারিও শেফার্ডের একটু নিচু হয়ে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন সাইফ। ফেরার ম্যাচে জেইডেন সিলসের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সৌম্য।

শুরুর চাপের পর বেশ কয়েকটি জুটি হলেও রানের চাকা হয়ে পড়ে শ্লথ। ক্যারিবিয়ান স্পিনাররা ধরে ফেলেন লাগাম। প্রতিকূল পিচে খোলসে ঢুকে যান বাংলদেশের ব্যাটাররা। তৃতীয় উইকেটে শান্ত ও হৃদয় যোগ করেন ১২০ বলে ৭১ রান। টার্ন করা দারুণ ডেলিভারিতে রিভিউ নিয়ে শান্তকে থামান খ্যারি পিয়েরে।

এরপর হৃদয়ের সঙ্গে ৭৫ বলে ৩৬ ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৫৫ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন অঙ্কন। ফিফটি করার পরপরই জাস্টিন গ্রিভসের বলে কট বিহাইন্ড হন হৃদয়। ছক্কা মারার চেষ্টায় মিরাজ দেন ক্যাচ। তাকে ফেরানোর পর অঙ্কনকেও ঝুলিতে ঢোকান রোস্টন চেইস। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হওয়ায় অভিষেকে ফিফটি পাওয়া হয়নি অঙ্কনের।

নুরুল হাসান সোহান আবার ব্যর্থ হলেও শেষদিকে রিশাদ তোলেন ঝড়। ফলে বাংলাদেশের পুঁজি দুইশ ছাড়িয়ে যায়। ডাবল নিতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান রানআউট হলে থামে তাদের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সিলস তিনটি এবং চেইস ও গ্রিভস দুটি করে শিকার ধরেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৪৯.৪ ওভারে ২০৭ (সাইফ ৩, সৌম্য ৪, শান্ত ৩২, হৃদয় ৫১, অঙ্কন ৪৬, মিরাজ ১৭, সোহান ৯, রিশাদ ২৬, তানভির ৯*, তাসকিন ০, মোস্তাফিজ ১; সিলস ৩/৪৮, শেফার্ড ১/৩১, পিয়ের ১/১৯, চেইস ২/৩০, মোটি ০/৪৪, গ্রিভস ২/৩২)।

Comments (0)
Add Comment