টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী এবং শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। নতুন করে বন্যায় পানিবন্দি অন্তত ৭০ হাজার মানুষ। এছাড়া নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
কয়েক দিন ধরে বাড়ছে তিস্তা ও ধরলার পানি। আবারও নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নিচু এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
আগের ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও বন্যার কবলে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের মানুষ। ঘরে ফেরার আগেই চতুর্থ দফায় আশ্রয়হীন হয়ে রাস্তা ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি জেলার ৬৫টি পয়েন্টের নদী ভাঙন দুর্ভোগ বাড়িয়েছে।
তবে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তৃতীয় দফা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন। ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, হাতিকান্দা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের অন্তত ২৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি।
এর আগের দুই দফার বন্যায় ঝিনাইগাতীতে আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে নতুন করে বন্যা শুরু হওয়ায় আবারও তলিয়েছে আমন ধান।